ফুটবল ইতিহাসে কিছু বছর আছে যেগুলো কেবল একটি ক্যালেন্ডার ইয়ার নয়, বরং একেকটি কিংবদন্তির জন্মের সাক্ষী। কোনো কোনো মৌসুমে ফুটবলাররা এমন গোলসংখ্যা উপহার দিয়েছেন, যা আজও ভক্তদের বিস্ময়ে ফেলে দেয়। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে গোল করে তারা প্রমাণ করেছেন ফুটবল শুধু দলগত খেলা নয়, এটি ব্যক্তিগত প্রতিভারও এক অনন্য মঞ্চ। এই আলোচনায় আমরা এমন পাঁচজন অসাধারণ খেলোয়াড়কে তুলে ধরছি, যারা একক ক্যালেন্ডার বছরে গোল করার ক্ষেত্রে ইতিহাসের পাতায় স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। এই তালিকা কেবল সংখ্যার নয়, বরং প্রতিভা, প্রভাব ও সময়কে অতিক্রম করা ফুটবল সৌন্দর্যের দলিল। Footballers With the Most Goals in a Single Calendar Year.
5. Zico – 72 Goals (1979)

ফুটবল ইতিহাসে এমন কিছু খেলোয়াড় আছেন যাদের অবদান বিশাল হলেও তারা সবসময় প্রাপ্য স্বীকৃতি পান না। জিকো ঠিক তেমনই একজন কিংবদন্তি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সোনালি যুগে খেললেও পেলে, রোনালদিনহো বা রোনালদোর মতো নামের আড়ালে অনেক সময় তার কীর্তি ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে জিকো যা করেছিলেন, তা তাকে নিঃসন্দেহে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলস্কোরিং মিডফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
১৯৭৯ ক্যালেন্ডার বছরে জিকো ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মোট ৭২টি গোল করেন। একজন স্ট্রাইকার নয়, বরং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হয়ে এত গোল করা আজকের যুগেও বিরল, সেই সময়ে তো প্রায় অকল্পনীয়। এই কারণেই তিনি Footballers With the Most Goals in a Single Calendar Year তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফ্লামেঙ্গোর হয়ে জিকোর সেই মৌসুম ছিল স্বপ্নের মতো। ক্যারিওকা লিগে দলটি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় এবং জিকো নিজে ৩৪ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। তার ফ্রি-কিক নেওয়ার দক্ষতা ছিল শিল্পের মতো। গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ গোলকিপার জানত বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
জাতীয় দলের হয়েও জিকোর প্রভাব ছিল অসাধারণ। ফালকাও, সক্রেটিসের মতো মিডফিল্ড জিনিয়াসদের সঙ্গে মিলে তিনি ব্রাজিলকে উপহার দেন আক্রমণাত্মক ও নান্দনিক ফুটবল। যদিও সেই বছরের কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল সেমিফাইনালে বাদ পড়ে, তবুও জিকোর ফর্ম ছিল প্রশ্নাতীত।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জিকো ইউরোপে খেলতে যান অনেক দেরিতে। তিনি যদি ১৯৭৯ সালের আগেই ইউরোপীয় লিগে খেলতেন, তাহলে হয়তো আজ তাকে আরও বড় কিংবদন্তি হিসেবে গণ্য করা হতো। অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, ১৯৭৯ সালই ছিল জিকোর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ শিখর।
গোল, নেতৃত্ব, খেলার সৌন্দর্য সব মিলিয়ে জিকোর ৭২ গোল শুধু সংখ্যা নয়, এটি একজন পূর্ণাঙ্গ ফুটবলারের প্রতিচ্ছবি।
4. Pele – 72 Goals (1965)

পেলে মানেই শুধু একটি নাম নয়, এটি পুরো ফুটবল ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। ১৯৬৫ সাল পেলের ক্যারিয়ারের এমন একটি বছর, যেখানে তিনি গোলসংখ্যার পাশাপাশি নিজের সর্বব্যাপী প্রভাব আবারও প্রমাণ করেছিলেন। ওই ক্যালেন্ডার বছরে তিনি মোট ৭২টি গোল করেন, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত গোলস্কোরারদের কাতারে নিয়ে যায় এবং Footballers With the Most Goals in a Single Calendar Year আলোচনায় তার নামকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এই বছরটিকে ঘিরে একটি বড় বিতর্ক সবসময়ই থাকে কারণ পেলের অনেক গোল এসেছিল প্রীতি ম্যাচ থেকে। কিন্তু সেই সময়ের ফুটবল বাস্তবতা বোঝা জরুরি। ১৯৬০-এর দশকে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচগুলো ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, যেখানে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার সেরা দলগুলো একে অপরের মুখোমুখি হতো। ফলে সেই গোলগুলোকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
১৯৬৫ সালে কোনো বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট না থাকলেও পেলে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে বাছাইপর্ব ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫–১ গোলের ঐতিহাসিক জয়ে তার উপস্থিতি প্রমাণ করেছিল, কেন তাকে “দ্য কিং” বলা হয়। ডিফেন্ডারদের বিভ্রান্ত করা ড্রিবল, নিখুঁত ফিনিশিং এবং শারীরিক শক্তির সমন্বয় তাকে আলাদা করে তুলেছিল।
ক্লাব ফুটবলে সান্তোসের হয়ে পেলে ছিলেন এক কথায় অপ্রতিরোধ্য। ব্রাজিলিয়ান লিগ জয়ে তার অবদান ছিল অপরিসীম। প্রতিটি ম্যাচে তিনি ছিলেন প্রতিপক্ষের প্রধান আতঙ্ক। শুধু গোল নয়, তার মুভমেন্ট ও পাসিং পুরো দলের আক্রমণভাগকে প্রাণবন্ত করে তুলত। গোলের জন্য তার অবস্থান নেওয়ার ক্ষমতা ছিল সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
এই বছরটি পেলের ক্যারিয়ারে বিশেষ কারণ, এটি দেখিয়েছে যে তিনি কেবল বিশ্বকাপের মঞ্চেই নন, বরং প্রতিটি মৌসুমেই ধারাবাহিকভাবে সেরা হতে পারেন। যদিও তিনি এর আগেও এবং পরেও আরও বড় গোলসংখ্যা ছুঁয়েছেন, ১৯৬৫ সালের ৭২ গোল তার স্থায়িত্ব ও পেশাদারিত্বের অনন্য উদাহরণ।
পেলে নিজে বলেছিলেন, গোল করা তার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল, কারণ তিনি ফুটবলকে অনুভব করতেন হৃদয় দিয়ে। ১৯৬৫ সাল সেই অনুভূতির বাস্তব প্রতিফলন, যেখানে প্রতিটি গোল ছিল শিল্পের মতো নিখুঁত।
3. Pele – 75 Goals (1958)

১৯৫৮ সাল শুধু একটি বছর নয়, এটি ফুটবল ইতিহাসের এক বিপ্লবী অধ্যায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেলে যে কীর্তি গড়েছিলেন, তা আজও অবিশ্বাস্য মনে হয়। ওই বছরে তিনি মোট ৭৫টি গোল করেন এবং নিজেকে ইতিহাসের সবচেয়ে কমবয়সী সুপারস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই অসাধারণ অর্জন তাকে Footballers With the Most Goals in a Single Calendar Year তালিকায় এক বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে যায়।
এই বছরের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপ। পেলে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই বিশ্বকে চমকে দেন। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার হ্যাটট্রিক ছিল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। এরপর ফাইনালে স্বাগতিক সুইডেনের বিপক্ষে দুই গোল করে তিনি ইতিহাস গড়েন আজও তিনি বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপের বাইরেও পেলে ছিলেন দুর্দান্ত। সান্তোসের হয়ে ক্লাব মৌসুমে তিনি করেন ৫৮ গোল, যার মাধ্যমে দলটি লিগ শিরোপা জেতে। একজন কিশোর ফুটবলারের পক্ষে এই ধারাবাহিকতা ছিল অবিশ্বাস্য। তার আত্মবিশ্বাস, শারীরিক সক্ষমতা এবং ম্যাচ পড়ার ক্ষমতা তাকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের থেকেও এগিয়ে রাখে।
এই বছরটি প্রমাণ করেছিল, পেলে কেবল প্রতিভাবান নন তিনি মানসিকভাবে ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী। বড় মঞ্চে চাপ তাকে ভাঙতে পারেনি, বরং আরও উজ্জ্বল করেছে। প্রতিটি গোলের সঙ্গে সঙ্গে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে।
১৯৫৮ সাল থেকেই পেলে হয়ে ওঠেন বৈশ্বিক আইকন। মিডিয়া, দর্শক এবং ফুটবল বিশেষজ্ঞরা সবাই বুঝে যান এই ছেলেটি শুধু তারকা নয়, সে ইতিহাস বদলে দিতে এসেছে। তার গোলসংখ্যা ছিল সেই বিপ্লবের সংখ্যাগত প্রমাণ।
Also Read:
- Top 5 Greatest Manchester United Players of All Time
- Top 5 Greatest Footballers With the Most Ballon d’Or Award
- Top 5 Best International Centre-Back Partnerships of 2025
2. Gerd Müller – 85 Goals (1972)

ফুটবল ইতিহাসে এমন খুব কম স্ট্রাইকার আছেন, যাদের নাম শুনলেই “গোল” শব্দটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনে পড়ে। গার্ড মুলার ছিলেন ঠিক তেমনই একজন ফুটবলার। ১৯৭২ সাল তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ শিখর, যখন তিনি ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট ৮৫টি গোল করেন। এই অসাধারণ কীর্তির কারণেই তিনি Footballers With the Most Goals in a Single Calendar Year তালিকায় দীর্ঘ সময় ধরে দ্বিতীয় স্থানে নিজের নাম অটুট রেখেছিলেন।
গার্ড মুলারের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার পজিশনিং সেন্স। তিনি খুব দ্রুত বুঝে ফেলতে পারতেন বলটি কোথায় আসবে এবং ঠিক সেই জায়গায় উপস্থিত থাকতেন। দৌড়ে গতি, লম্বা ড্রিবল বা চোখধাঁধানো স্কিল তার খেলায় খুব বেশি ছিল না, কিন্তু গোল করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একদম নির্মম। বক্সের ভেতরে একবার সুযোগ পেলে সেটিকে গোল বানানো ছিল তার কাছে প্রায় নিশ্চিত।
১৯৭২ সালে পশ্চিম জার্মান জাতীয় দলের হয়ে তিনি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে তার গোল ছিল দলের প্রধান অস্ত্র। ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন, যা পশ্চিম জার্মানিকে শিরোপা এনে দেয়। ওই বছর জাতীয় দলের হয়ে তিনি মোট ২০টি গোল করেন, যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এক ক্যালেন্ডার বছরে বিরল কীর্তি।
ক্লাব পর্যায়ে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে গার্ড মুলারের পারফরম্যান্স ছিল আরও ভয়ঙ্কর। তিনি করেন ৬৫টি গোল, যার মধ্যে ৪০টি গোল আসে বুন্দেসলিগায়। এই গোলগুলোই বায়ার্নকে লিগ শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে তিনি জিতে নেন গোল্ডেন বুট, যা প্রমাণ করে তিনি শুধু গোল করছিলেন না, বরং সর্বোচ্চ মানের গোল করছিলেন।
গার্ড মুলারের খেলার ধরন ছিল খুব সরল কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর। তিনি কখনো অহেতুক শট নিতেন না, সব সময় সঠিক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতেন। হেডিং, ট্যাপ-ইন, রিবাউন্ড সব ধরনের গোল করার ক্ষমতা তার ছিল। ডিফেন্ডাররা জানত তিনি কোথায় দাঁড়াবেন, তবুও তাকে আটকাতে পারত না।
১৯৭২ সালের এই ৮৫ গোলের রেকর্ড এতটাই শক্তিশালী ছিল যে প্রায় ৪০ বছর কেউ তা ছুঁতেও পারেনি। আধুনিক ফুটবলের আগে এই কীর্তি অনেকের কাছেই “অসম্ভব” বলে মনে হতো। গার্ড মুলার প্রমাণ করেছিলেন, গোল করার জন্য বড় তারকা হওয়া নয় বরং সঠিক জায়গায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
1. Lionel Messi – 91 Goals (2012)

ফুটবল ইতিহাসে কিছু রেকর্ড শুধু সংখ্যা নয়, সেগুলো এক ধরনের বিস্ময়। ২০১২ সালে লিওনেল মেসির করা ৯১ গোল ঠিক তেমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা, যা আধুনিক ফুটবলকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। এই কীর্তির মাধ্যমেই মেসি নিঃসন্দেহে Footballers With the Most Goals in a Single Calendar Year তালিকার শীর্ষে নিজের নাম স্থায়ীভাবে লিখে ফেলেছেন।
২০১২ সাল জুড়ে মেসি যেন গোল করার এক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। প্রতিটি ম্যাচেই তার কাছ থেকে গোল আসবে এটাই ছিল স্বাভাবিক প্রত্যাশা। বার্সেলোনার হয়ে তিনি মোট ৭৯টি গোল করেন, যা এক ক্লাবের হয়ে এক ক্যালেন্ডার বছরে প্রায় অকল্পনীয়। লা লিগায় এক মৌসুমে ৫০ গোল করে তিনি নিজেই নিজের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দেন।
মেসির গোলগুলো কেবল সংখ্যায় বড় ছিল না, বরং মানের দিক থেকেও ছিল অসাধারণ। ড্রিবল করে তিন-চারজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল, ফ্রি-কিক থেকে নিখুঁত শট, দূরপাল্লার বাঁ পায়ের কার্লিং সব ধরনের গোলই ছিল তার ভাণ্ডারে। তিনি শুধু একজন স্ট্রাইকার নন, বরং প্লে-মেকার হয়েও এত গোল করা ছিল অবিশ্বাস্য।
জাতীয় দলের হয়েও মেসি ২০১২ সালে পিছিয়ে ছিলেন না। আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি করেন ১২টি গোল, যা অনেক সমালোচনার জবাব হয়ে আসে। দীর্ঘদিন ধরে বলা হতো, মেসি ক্লাব পর্যায়ে ভালো কিন্তু জাতীয় দলে কার্যকর নন। ২০১২ সালের এই পারফরম্যান্স সেই ধারণাকে অনেকটাই বদলে দেয়।
ট্রফির দিক থেকে দেখলে বছরটি নিখুঁত ছিল না। বার্সেলোনা লা লিগা বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেনি। কিন্তু মেসি জিতেছিলেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপারকাপ। তবুও এই বছরটির আসল অর্জন ছিল ব্যক্তিগত গোলের ধারাবাহিকতা ও ফুটবল সৌন্দর্যের চূড়ান্ত প্রদর্শন।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ছিল মেসির ধারাবাহিকতা। কোনো বড় চোট ছাড়া পুরো বছর তিনি একই গতিতে গোল করে গেছেন। প্রতিপক্ষ দল জানত কী আসছে, তবুও তাকে আটকাতে পারেনি। ৯১ গোলের এই রেকর্ড শুধু ভাঙা কঠিন নয় অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটি হয়তো আর কখনো ছোঁয়া যাবে না।
২০১২ সাল তাই শুধু মেসির ক্যারিয়ারের নয়, পুরো ফুটবল ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। এটি প্রমাণ করে দেয় প্রতিভা, পরিশ্রম এবং সঠিক সময় একসঙ্গে এলে কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
FAQs
প্রশ্ন ১: এক ক্যালেন্ডার বছরে গোলের হিসাব কীভাবে করা হয়?
উত্তর: জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের সব প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের গোল যোগ করে হিসাব করা হয়।
প্রশ্ন ২: প্রীতি ম্যাচের গোল কি এই হিসাবের মধ্যে পড়ে?
উত্তর: অনেক ক্ষেত্রে পড়ে, তবে এজন্যই কিছু খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকে।
প্রশ্ন ৩: মেসির ৯১ গোলের রেকর্ড কি ভাঙা সম্ভব?
উত্তর: আধুনিক ফুটবলের সূচি ও প্রতিযোগিতা বিবেচনায় এটি ভাঙা অত্যন্ত কঠিন।
প্রশ্ন ৪: ভবিষ্যতে কে এই তালিকায় ঢোকার সম্ভাবনা রাখে?
উত্তর: নিয়মিত গোল করা তারকা ফরোয়ার্ডরা সুযোগ পেতে পারেন, তবে মেসির স্তরে পৌঁছানো বিরল।
