ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা ১০টি ওডিআই পার্টনারশিপ রান অসাধারণ দলীয় কাজ এবং ব্যাটিং দক্ষতা প্রদর্শন করে। এই পার্টনারশিপগুলো খেলোয়াড়দের মধ্যে কৌশলগত ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের প্রমাণ দেয়, যা কিছু অবিস্মরণীয় রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছে।
10. রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)
রাহুল দ্রাবিড় এবং সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন ভারতের জন্য একটি দুর্দান্ত জুটি। দ্রাবিড়ের নির্ভরযোগ্যতা এবং গাঙ্গুলির সাহসিকতা মধ্যক্রমে ভারসাম্য তৈরি করত। একসঙ্গে তারা ভারতের ওডিআই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, ৮৮ ইনিংসে ১১টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। তাদের এই পার্টনারশিপ ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
9. বীরেন্দ্র শেবাগ এবং শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)
২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ও শচীন টেন্ডুলকর ভারতের জন্য একটি কিংবদন্তী ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন। সেহওয়াগের আক্রমণাত্মক খেলা ও টেন্ডুলকরের দক্ষতা মিলিয়ে তারা ১১৪ ইনিংসে ৪৩৮৭ রান সংগ্রহ করেন। তাদের পার্টনারশিপ ১৩টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি ফিফটি তৈরি করে, যা ক্রিকেট ইতিহাসে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
8. শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা (ভারত)
রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান ২০১১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ক্রিকেট দুনিয়ায় এক দুর্দান্ত জুটি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১১৭ ইনিংসে তারা ৫১৯৩ রান সংগ্রহ করেছেন, গড় ৪৫.১৫। তাদের পার্টনারশিপে ১৮টি সেঞ্চুরি ও ১৫টি ফিফটি ছিল, যা প্রমাণ করে তারা কীভাবে বোলারদের দাপটের সাথে সামলাতেন এবং আক্রমণাত্মক খেলা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করতেন।
7. গর্ডন গ্রিনিজ এবং ডেসমন্ড হেইনস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৯৭৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত গর্ডন গ্রিনিজ এবং ডেসমন্ড হেইন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং পার্টনারশিপে একটি উঁচু মান স্থাপন করেছিলেন। গ্রিনিজের আক্রমণাত্মক খেলা ও হেইন্সের স্থিতিশীল টেকনিকের মিশ্রণ তাদের অত্যন্ত সফল করে তোলে। তারা একসঙ্গে ১০৩ ইনিংসে ৫২০৬ রান করেন, গড় ছিল ৫২.৫৮। তাদের পার্টনারশিপে ১৫টি শতক ও ২৫টি অর্ধশতক ছিল, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে এক স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছে।
6. বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা (ভারত)
২০১০ সাল থেকে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি শক্তিশালী পার্টনারশিপ গড়েছেন। ৯৩ ইনিংসে তারা ৫২৫৯ রান করেছেন, অসাধারণ ৫৯.৭৬ গড়ে। একসঙ্গে তারা ১৮টি সেঞ্চুরি ও ১৫টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন, যা ভারতের ওডিআই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
5. অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং ম্যাথিউ হেইডেন (অস্ট্রেলিয়া)
২০০০ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং ম্যাথু হেইডেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য শক্তিশালী ওপেনিং জুটি ছিলেন। তারা একসঙ্গে ১১৭ ইনিংসে ৫৪০৯ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ১৬টি সেঞ্চুরি ও ২৯টি ফিফটি। গিলক্রিস্টের আক্রমণাত্মক খেলা এবং হেইডেনের শক্তিশালী ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই ক্রিকেট সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
4. সনাথ জয়সুরিয়া এবং মারভান আতাপাত্তু (শ্রীলঙ্কা)
১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে সনৎ জয়াসুরিয়া এবং মারভান আতাপাত্তু শ্রীলঙ্কার জন্য একটি শক্তিশালী ওপেনিং জুটি ছিলেন। তারা ১৪৪ ইনিংসে মোট ৫৪৬২ রান সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে ১৪টি সেঞ্চুরি এবং ২৬টি হাফ-সেঞ্চুরি ছিল। জয়াসুরিয়ার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং আতাপাত্তুর নির্ভরযোগ্যতা সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ওডিআই ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
3. কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)
কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশান ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শক্তিশালী একটি শ্রীলঙ্কান জুটি ছিলেন। তারা ১০৮ ইনিংসে ৫৪৭৫ রান করেছেন, যার গড় ৫৩.৬৭। সাঙ্গাকারের শান্ত স্বভাব এবং দিলশানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তাদেরকে একটি গতিশীল জুটি তৈরি করেছে, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট অর্জনে ২০টি সেঞ্চুরি এবং ১৯টি ফিফটি যোগ করেছে।
2. কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)
২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে, কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে শ্রীলঙ্কার ওডিআই ক্রিকেটে সৌন্দর্য এবং ধারাবাহিকতা নিয়ে এসেছিলেন। তারা মিলে ১৫১ ইনিংসে ৫৯৯২ রান সংগ্রহ করেছেন, যার মধ্যে ১৫টি সেঞ্চুরি এবং ৩২টি ফিফটি রয়েছে। সাঙ্গাকারা তার ক্লাসিক্যাল ব্যাটিং স্টাইল দিয়ে জয়াবর্ধনের স্টাইলিশ স্ট্রোকপ্লেকে ভালোভাবে সম্পূরক করেছে, যা শ্রীলঙ্কার ওডিআই ক্রিকেটের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
1. সৌরভ গাঙ্গুলি এবং শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)
শচীন টেন্ডুলকর এবং সৌরভ গাঙ্গুলি, ভারতের ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি, ১৯৯২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে একটি স্মরণীয় উদ্বোধনী জুটি গঠন করেন। তারা একত্রে ১৭৬ ইনিংসে ৮২২৭ রান করেছেন, যার গড় ৪৭.৫৫। টেন্ডুলকরের elegans এবং গাঙ্গুলির সাহস ভারতকে শক্তিশালী করেছে, কারণ তাদের ২৬ সেঞ্চুরি এবং ২৯ ফিফটির মাধ্যমে ইনিংসের শুরুতে তাদের শক্তি প্রকাশ পায়।