সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আগে তারা মাঝে মাঝে ভালো খেললেও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা রাখতে পারত না। এখন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মান উন্নত হয়েছে, এবং তারা যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো খেলছে।
ক্রিকেট ভক্তরা সবসময় দলকে সমর্থন দিয়েছে, কঠিন সময়েও। বিসিবি-র কার্যকর নেতৃত্বও প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের সেরা ৫ জন পেসারের বিবৃতি নিম্নরুপঃ
5. তাপস বৈশ্য
তাপস বৈশ্য হলেন বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যিনি তার ক্যারিয়ারে বল এবং ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি ৫৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) এবং ২১টি টেস্ট ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ওডিআই ফরম্যাটে তিনি ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন এবং টেস্টে ৩৬টি উইকেট দখল করেছেন। ওডিআইতে তার ইকোনমি রেট ছিল ৫.৬৪, যেখানে তিনি ২টি চার উইকেট শিকার করেছেন। টেস্টে তার রয়েছে একটি চার উইকেট শিকারও।
এছাড়া, তাপস টAIL-এNDER হিসেবেও টেস্টে মূল্যবান ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ২১টি টেস্টে ৩৮৪ রান করেছেন, যার মধ্যে ২টি অর্ধশতক রয়েছে এবং তার সেরা ইনিংস ছিল ৬৬ রান। অন্যদিকে, ওডিআইতে তিনি ৩৩৬ রান করেছেন, যেখানে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৫*।
4. শাহাদাত হোসেন
শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম দ্রুতগতির পেসার ছিলেন। তার কাঁচা গতির বোলিং দিয়ে তিনি ভালো প্রভাব ফেলেছিলেন। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সতীর্থকে আঘাত করার ঘটনায় তাকে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
খেলার সময় তিনি বল হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে হিমশিম খেতেন এবং অতিরিক্ত রান দেওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়তেন। তবুও, প্রয়োজনের সময়ে তিনি কিছু কার্যকরী স্পেল দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।
ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার ৩৮টি টেস্ট, ৫১টি ওডিআই এবং ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে ৭২টি, ওডিআইতে ৪৭টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন।
3. রুবেল হোসেন
রুবেল হোসেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফাস্ট বোলারদের একজন, যিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্রেকথ্রু এনে দিতে সক্ষম। ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার দলটির হয়ে বিভিন্ন ফরম্যাটে অনেক কার্যকরী স্পেল উপহার দিয়েছেন।
তার ‘স্লিঙ্গি’ বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাকে ‘বাংলাদেশের মালিঙ্গা’ বলা হয়, যা লাসিথ মালিঙ্গার বোলিং অ্যাকশনের মতোই। ৩৩ বছর বয়সী রুবেল এখন পর্যন্ত ২৭টি টেস্ট, ১০৪টি ওডিআই এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
টেস্টে তিনি ৩৬টি উইকেট নিয়েছেন, যার মধ্যে একটি ফাইফার রয়েছে। অন্যদিকে, ওডিআইতে ১২৯টি উইকেট শিকার করেছেন, যার মধ্যে ৭টি চার উইকেট শিকার এবং একটি ফাইফার রয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে তিনি ২৮ ম্যাচে ২৮টি উইকেট দখল করেছেন।
2. মোস্তাফিজুর রহমান
মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। বাঁহাতি এই পেসার অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী, যার ফলে তিনি নিজেকে এই যুগের সফলতম বোলারদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
বিশেষভাবে, ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন, যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫/২২ নিয়ে ফাইফার ছিল, যা পরাজিত দলের জন্য সেরা বোলিং ফিগার।
মুস্তাফিজুর রহমান, যিনি বর্তমান সময়ের শীর্ষস্থানীয় পেসারদের একজন হিসেবে বিবেচিত, বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৫টি টেস্ট, ৮৭টি ওডিআই এবং ৮৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিনি টেস্টে ৩১টি, ওডিআইতে ১৪৬টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ১০০টি উইকেট শিকার করেছেন।
1. মাশরাফি বিন মর্তুজা
মাশরাফি মোর্তাজা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তিনি বল এবং ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে নিজেকে ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটেই সবচেয়ে কার্যকর খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক ৩৬টি টেস্ট, ২২০টি ওডিআই এবং ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। টেস্টে তিনি ৭৮টি, ওডিআইতে ২৭০টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৪২টি উইকেট শিকার করেছেন।
বিশেষভাবে, ওডিআইতে তিনি একবার পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। বোলিং ছাড়াও, তিনি দলের নিম্নক্রমে একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান ছিলেন। টেস্টে তিনি ৩টি অর্ধশতক এবং ওডিআইতে ১টি অর্ধশতক করেছেন। এছাড়া, টেস্টে ২২টি, ওডিআইতে ৬২টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।