সর্বকালের সেরা ১০টি দ্রুতগতির বল

সবচেয়ে দ্রুত ১০টি ক্রিকেট বলের তালিকা আবিষ্কার করুন, যা ঐতিহাসিক রেকর্ড এবং অসাধারণ বোলিং কৃতিত্ব তুলে ধরে। এসব মাইলফলক ক্রিকেট ইতিহাসে বোলিং গতির শীর্ষস্থানে রয়েছে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টে পরিমাপ ও নথিভুক্ত করা হয়েছে। দ্রুত গতির এই বলগুলো বোলারদের দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের উত্তেজনা প্রকাশ করে।

10. শেন বন্ড – ১৫৬.৪ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.১৮ মাইল/ঘণ্টা)

শেন বন্ড, বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার, তার চমৎকার গতিশীলতা এবং নিখুঁত বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের নবম দ্রুততম বলটি করেন, যার গতি ছিল ১৫৬.৪ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.২৬ মাইল/ঘণ্টা)।

9. মোহাম্মদ সামি – ১৫৬.৪ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.১৮ মাইল/ঘণ্টা)

মোহাম্মদ সামি তার দ্রুত হাতের অঙ্গভঙ্গির জন্য পরিচিত, যা তাকে ক্রিকেটের দ্রুততম বোলারদের মধ্যে অন্যতম করে তোলে। তিনি উচ্চ গতিতে বল সুইং করার জন্য প্রসিদ্ধ এবং একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৬৪ কিমি/ঘণ্টা (১০১.৯ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে বল করে ক্রিকেট ইতিহাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সবচেয়ে দ্রুত গতির ডেলিভারির রেকর্ড করেছেন।

8. এসমিথেল জনসন – ১৫৬.৮ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.৪৯ মাইল/ঘণ্টা)

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের খ্যাতনামা বোলার মিচেল জনসন তার বামহাতি পেস এবং সুইং করার দক্ষতার জন্য পরিচিত। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি ১৫৬.৮ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.৪৯ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে বোল্ড করে ক্রিকেট ইতিহাসের অষ্টম দ্রুততম বলের রেকর্ড গড়েন।

7. ফিদেল এডওয়ার্ডস – ১৫৭.৭ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.৯৪ মাইল/ঘণ্টা)

ফিদেল এডওয়ার্ডস, যার বৈশিষ্ট্য হলো দ্রুতগতির বোলিং এবং নিখুঁততা, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি ম্যাচে ১৫৭.৭ কিমি/ঘণ্টা (৯৭.৯৪ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে সপ্তম দ্রুততম বল করেন, যা তাকে পশ্চিম ইন্ডিজের অন্যতম দ্রুততম বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

6. অ্যান্ডি রবার্টস – ১৫৯.৫ কিমি/ঘণ্টা (৯৯.১২ মাইল/ঘণ্টা)

অ্যান্ডি রবার্টস, যার বিপজ্জনক বাউন্সার ও তীব্র গতির জন্য খ্যাতি ছিল, তার যুগের অন্যতম দ্রুত বোলার ছিলেন। ১৯৭৫ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচে তিনি ১৫৯.৫ কিমি/ঘণ্টা (৯৯.১২ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুত বল নিক্ষেপ করেন।

5. মিচেল স্টার্ক – ১৬০.৪ কিমি/ঘণ্টা (৯৯.৫৭ মাইল/ঘণ্টা)

মিচেল স্টার্ক, একজন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার যিনি তাঁর বাঁ হাতের স্যুইং এবং দ্রুত গতির জন্য পরিচিত, ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ১৬০.৪ কিমি/ঘণ্টা (৯৯.৫৭ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে পাঁচ নম্বর দ্রুত বলটি করেন। এতে তিনি আধুনিক ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

4. জেফ থমসন – ১৬০.৬ কিমি/ঘণ্টা (৯৯.৬৬ মাইল/ঘণ্টা)

জেফ থমসন, তার বিদ্যুৎগতির বল এবং আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত, ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ১৬০.৬ কিমি/ঘণ্টা (৯৯.৬৬ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ দ্রুততম বলটি করেছিলেন।

3. ব্রেট লি – ১৬১.১ কিমি/ঘণ্টা (১০০.১৪ মাইল/ঘণ্টা)

অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার ব্রেট লি তার আক্রমণাত্মক খেলা ও অসাধারণ গতির জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে, তিনি ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ডেলিভারি করেছিলেন, যার গতি ছিল ১৬১.১ কিমি/ঘণ্টা (১০০.১৪ মাইল/ঘণ্টা)।

2. শন টেইট – ১৬১.১ কিমি/ঘন্টা (১০০.১৪ মাইল/ঘন্টা)

অস্ট্রেলিয়ান গতির বোলার শন টেইট তার দুর্দান্ত গতি ও নিখুঁত বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে তিনি ১৬১.১ কিমি/ঘন্টা (১০০.১৪ মাইল/ঘন্টা) গতিতে ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম বলটি করেছিলেন।

1. শোয়েব আখতার – ১৬১.৩ কিমি/ঘণ্টা (১০০.২৩ মাইল/ঘণ্টা)

শোয়েব আখতার, যিনি ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত, ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলারের রেকর্ডধারী। তিনি ২০০৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে ১৬১.৩ কিমি/ঘণ্টা (১০০.২৩ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে বল করেছিলেন। তার তীব্র গতির জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন এবং তার গতি দিয়ে শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানদের কষ্টে ফেলতে পারতেন।

ক্রিকেট ইতিহাসের ১০টি দ্রুততম ডেলিভারি :

বোলারগতি (কিমি/ঘণ্টা)গতি (মাইল/ঘণ্টা)দেশপ্রতিপক্ষবছর
শোয়েব আখতার১৬১.৩১০০.২পাকিস্তানইংল্যান্ড২০০৩
শন টেইট১৬১.১১০০.১অস্ট্রেলিয়াইংল্যান্ড২০১০
ব্রেট লি১৬১.১১০০.১অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড২০০৫
জেফরি থমসন১৬০.৬৯৯.৮অস্ট্রেলিয়াওয়েস্ট ইন্ডিজ১৯৭৫
মিচেল স্টার্ক১৬০.৪৯৯.৭অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড২০১৫
অ্যান্ডি রবার্টস১৫৯.৫৯৯.১ওয়েস্ট ইন্ডিজঅস্ট্রেলিয়া১৯৭৫
ফিদেল এডওয়ার্ডস১৫৭.৭৯৭.৯ওয়েস্ট ইন্ডিজদক্ষিণ আফ্রিকা২০০৩
মিচেল জনসন১৫৬.৮৯৭.৪অস্ট্রেলিয়াইংল্যান্ড২০১৩
মোহাম্মদ সামি১৫৬.৪৯৭.১পাকিস্তানজিম্বাবুয়ে২০০৩
শেন বন্ড১৫৬.৪৯৭.১নিউজিল্যান্ডভারত২০০৩

E2Bet এ স্বাগতম, এখানে আপনার জন্য মজার এবং রোমাঞ্চকর গেমস খেলতে আনন্দ পাবেন:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top