ওডিআই বিশ্বকাপের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অজ্ঞাত নায়কদের আবিষ্কার করুন। এমএস ধোনি, যুবরাজ সিং, সচিন টেন্ডুলকার ও গৌতম গম্ভীরের মতো স্বীকৃত তারকাদের বাইরেও যারা ক্রিকেট ইতিহাস গড়েছেন, তাদের সম্পর্কে জানুন। এই প্রতিবেদনে বিশ্বকাপের গৌরব অর্জনে পাঁচজন অজ্ঞাত চ্যাম্পিয়নকে তুলে ধরা হয়েছে।
5. যশপাল শর্মা – ভারত, ১৯৮৩
যশপাল শর্মা ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ভারতের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ মধ্য-অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে তার উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সে ২৪০ রান করার পাশাপাশি স্ট্রাইক রেট ছিল ৬৪.০০। বিশেষ করে, তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৯ এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন, যা ভারতকে ফাইনালে পৌঁছাতে এবং জয়ী হতে সাহায্য করে।
4. মুশতাক আহমেদ – পাকিস্তান, ১৯৯২
১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান তাদের প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপ জিতে নেয়। জাভেদ মিয়াঁদাদ এবং ওয়াসিম আকরামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মুশতাক আহমেদের লেগ-ব্রেক বোলিং ৯ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে অত্যন্ত কার্যকর ছিল, বিশেষ করে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স পাকিস্তানের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করে।
3. আসাঙ্কা গুরুসিনহা – শ্রীলঙ্কা, ১৯৯৬
১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা অর্জুন রাণাতুঙ্গার নেতৃত্বে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয়। অরবিন্দা ডি সিলভা ৪৪৮ রান করে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান, আর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসাঙ্কা গুরুসিংহা ৬৫ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা তাদের ঐতিহাসিক জয়ে সহায়তা করে।
2. ড্যামিয়েন মার্টিন – অস্ট্রেলিয়া, ২০০৩
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়াকে ১১টি জয় নিয়ে অপরাজিত থাকার রেকর্ডে নেতৃত্ব দেন এবং তাদের শিরোপা রক্ষা করতে সফল হন। পন্টিংয়ের ৪১৫ রান এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও ড্যামিয়েন মার্টিনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান তাদের শক্তিশালী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে।
1. মুনাফ প্যাটেল – ভারত, ২০১১
ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয় এমএস ধোনি, যুবরাজ সিং এবং সচিন টেন্ডুলকারের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য উদযাপিত হয়, গৌতম গম্ভীরকে অজ্ঞাত নায়ক হিসেবে প্রশংসা করা হয়। মুনাফ প্যাটেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল আট ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া, যা বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মূল খেলোয়াড়দের আউট করতে সহায়তা করেছিল।