আইপিএল প্লে-অফে অনেক কঠিন লড়াই দেখা গেছে, যেখানে কিছু দল একাধিকবার পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এই শীর্ষ ৫ দল তাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর সংগ্রাম এবং প্রতিযোগিতামূলক চ্যালেঞ্জের জন্য পরিচিত, যা টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের কঠিন বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলে।
৭- সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (১২ ম্যাচ)
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তাদের কখনও হার না মানার মানসিকতার জন্য বিখ্যাত, তবে প্লে-অফে ১২ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে পরাজিত হয়েছে। শীর্ষ দলগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবং নিয়মিত মৌসুমে ভালো পারফরম্যান্স দেখালেও, প্লে-অফে সাফল্য ধরে রাখা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ-এর জন্য কঠিন হয়েছে, যেখানে তারা সাতবার পরাজিত হয়েছে।
৭- মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (২০ ম্যাচ)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, যাদের সবচেয়ে বেশি আইপিএল শিরোপা রয়েছে, সাফল্যের পরও প্লে-অফে ব্যর্থতা দেখেছে। ২০টি প্লে-অফ ম্যাচের মধ্যে তারা সাতবার পরাজিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, সবচেয়ে শক্তিশালী দলও চাপের মধ্যে সংগ্রাম করতে পারে।
৯- দিল্লি ক্যাপিটালস (১১ ম্যাচ)
দিল্লি ক্যাপিটালস, পূর্বে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নামে পরিচিত, প্লে-অফ যাত্রায় ১১টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি হারার করুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ভালো শুরু করেও তারা হোঁচট খায় এবং তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়। তাদের এই সংগ্রাম প্লে-অফে নিয়মিত মৌসুমের জয়কে কাজে লাগানোর চ্যালেঞ্জকে তুলে ধরে।
৯- চেন্নাই সুপার কিংস (২৬ ম্যাচ)
সিএসকে, যারা তাদের নির্ভরযোগ্যতার জন্য পরিচিত, ২৬টি প্লে-অফ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে হেরেছে। তাদের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তারা পরাজয় এড়াতে পারেনি, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় সাফল্য এবং হতাশা কতটা কাছাকাছি হতে পারে তা তুলে ধরে।
১০- রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (১৬ ম্যাচ)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ১৬ ম্যাচে ১০টি প্লে অফে পরাজয়ের দুঃখজনক রেকর্ড রয়েছে, যা ভক্তদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশা জাগায়। শক্তিশালী আইপিএল ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, তারা এখনও তাদের সম্ভাবনাকে শিরোপায় রূপান্তরিত করতে পারেনি, যা তাদের প্লে অফের সংগ্রাম ও জয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে।
দল | ম্যাচ | প্লে অফ |
---|---|---|
আরসিবি | ১৬ | ১০ |
চেন্নাই | ২৬ | ৯ |
দিল্লি | ১১ | ৯ |
মুম্বাই | ২০ | ৭ |
সানরাইজার্স | ১২ | ৭ |