Cricketer হার্দিক তার স্বাভাবিক গতি ও বুদ্ধিদীপ্ত বৈচিত্র্য ব্যবহার করে দারুণ প্রভাব ফেলে

Cricket আইপিএল ২০২৪: সমালোচনার মুখে হার্দিক পান্ডিয়া, কিন্তু বল হাতে ফিরলেন দুর্দান্ত ছন্দে

Cricket আইপিএল ২০২৪-এ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হতাশাজনক পারফরম্যান্স (দশম স্থান) এবং দলের শক্তিশালী স্কোয়াড থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থতার কারণে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাপক ট্রোল ও সমালোচনার শিকার হন। ব্যাট হাতে ১৮ গড়ে রান করা এবং বল হাতে ৩৫.১৮ গড়ে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১০.৭৫ ইকোনমি রেট তাকে আরও চাপে ফেলে। তবে সেই ব্যর্থতার ধারা কাটিয়ে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি জয়ের পর এবং সদ্য সমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজের ‘রিডেম্পশন আর্ক’ আরও শক্তিশালী করেন হার্দিক।

আইপিএলে বল হাতে হার্দিকের রূপান্তর: ইতিহাস গড়ার রাত

আইপিএলে বল হাতে হার্দিকের রূপান্তর: ইতিহাস গড়ার রাত

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবারও Cricket আইপিএলের শুরুটা বাজেভাবে করেছে – প্রথম চার ম্যাচে মাত্র এক জয়। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম তিন ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত ছন্দে থেকে নিয়েছেন ৮ উইকেট, ইকোনমি রেট মাত্র ৭.৫। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ৫/৩৬ বোলিং ফিগার তুলে নেন তিনি, যা আইপিএল ইতিহাসে কোনো অধিনায়কের প্রথম পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি। সেই ম্যাচে তিনি তুলে নেন নিকোলাস পুরান, ঋষভ পন্ত, ডেভিড মিলার এবং আইডেন মার্করামের মূল্যবান উইকেট।

অফ-কাটার ও শর্ট বল: বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কৌশল

Cricketer হার্দিকের স্পেল এবং মুম্বাইয়ের পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র ছিল গতি কমিয়ে বল করা। স্বাভাবিকভাবে শর্ট-পিচ লেংথে বল করে থাকেন তিনি এবং এই ম্যাচেও ১৫টি শর্ট বল করে পেয়েছেন ৪টি উইকেট। ঋষভ পন্ত আউট হন একটি ‘গুড লেংথ’ অফ-কাটারে। তার ৬টি অফ-কাটারের মধ্যে ৩টি উইকেট হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ইন-ফর্ম নিকোলাস পুরান। একই কৌশল অনুসরণ করেন ট্রেন্ট বোল্ট ও উদীয়মান পেসার অশ্বিনী কুমারও – ডেথ ওভারে গতি কমিয়ে যথাক্রমে আব্দুল সামাদ ও আয়ুশ বাডোনিকে আউট করেন।

পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে:

এলএসজির বিপক্ষে মুম্বাইয়ের সিমারদের পারফরম্যান্স:

ভ্যারিয়েশনহার্দিক পান্ডিয়াসব সিমারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্স
অফ কাটার৩/৫ (৬ বল)৫/২১ (১৫ বল)
অন্যান্য ডেলিভারি২/২৭ (১৮ বল)২/৯৮ (৫৭ বল)

Cricket বাউন্ডারি ব্যবস্থার সুচিন্তিত ব্যবহার

ম্যাচের শেষ দিকে মুম্বাই বোলাররা অসামঞ্জস্যপূর্ণ সাইড বাউন্ডারির (৭৩ মিটার বনাম ৬৬ মিটার) সুযোগ নেয়। উদাহরণস্বরূপ, আয়ুশ বাডোনি যখন একটি ছয় মারেন ছোট দিক দিয়ে, তখন পরের বলেই আরও বাইরের লাইনে বল করে তাকে ক্যাচ করান অশ্বিনী কুমার। ম্যাচের শেষ চার ব্যাটার (মার্করাম, সামাদ, মিলার, আকাশ দীপ) সবাই লম্বা দিক দিয়ে ধীরগতির শর্ট বল খেলতে গিয়ে আউট হন।

আইপিএলে শর্ট বল: হার্দিকের অস্ত্র

হার্দিক পান্ডিয়া সব পর্যায়ের ওভারে বল করে থাকেন, তবে শর্ট বল তার পছন্দের লেংথ। Cricket আইপিএল ক্যারিয়ারে তার ৪৭.৫৩% বল শর্ট লেংথে, যা থেকে এসেছে তার ৭২ উইকেটের মধ্যে ৩৮টি (৫২.৭৭%)। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই হার আরও কাছাকাছি – ৪৯.৫৭% বল শর্ট, উইকেট ৫৫.৮১%। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে নেওয়ার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত থেকেই শর্ট বল তার অন্যতম ভরসা।

চ্যালেঞ্জ থাকলেও সম্ভাবনা উজ্জ্বল

১৫ ওভার পর্যন্ত দুই দলের স্কোর প্রায় সমান ছিল – এলএসজি ১৪৬/৩, মুম্বাই ১৪৩/৩। তবে শেষের দিকে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং পার্থক্য গড়ে দেয়। যদিও মুম্বাই এখনো মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে এগোচ্ছে, তবুও সামনে দুটি হাই-স্কোরিং অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে দলে কিছু ইতিবাচক দিক স্পষ্ট। এখন পর্যন্ত মুম্বাইয়ের পেসারদের সংগ্রহ ২১ উইকেট, যা দ্বিতীয় সেরা কলকাতার (১৪ উইকেট) চেয়ে ৭টি বেশি। গড় (১৯.১৪) ও স্ট্রাইক রেট (১২.৫) – এই দুটি সূচকে শুধু দিল্লি ক্যাপিটালস এগিয়ে (১৮.৩ এবং ১১.২)। সবকিছুই ঘটেছে জসপ্রিত বুমরাহ ছাড়াই – যা দলটির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।

“Join E2Bet for exciting games, big wins, & daily bonuses. Play now and experience nonstop fun!”

Leave a Comment

Scroll to Top